আসসালামু আলাইকুম,
দক্ষিন বঙ্গের প্রবেশদ্বার বলে খ্যাত টেকেরহাট বন্দর বানিজ্যিক ভাবে যতটা অগ্রসর হলেও শিক্ষার ক্ষেত্রে অনেকটা পিছিয়ে। বিশেষ করে নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে পশ্চাদমুখিতা সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তোলে রীতিমত। তাই শিক্ষা সচেতন অভিভাবক মহল সহশিক্ষা ব্যবস্থায় নিজেদের মেয়েকে স্কুল-কলেজে পাঠাতে চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। আমি এবং অত্র এলাকার সচেতন বিদ্যাৎসাহী মহল একটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন আঁকি। যার ফলশ্রুতিতে ২০০৮ ইং সালের শেষে দিকে দল মত নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনতার স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহনে চরপ্রসন্নদী মৌজায় “চরপ্রসন্নদী কে.এম জাকির হোসেন বালিকা বিদ্যালয়” প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সে স্বপ্ন বাস্তবে রুপ নেয়। স্থানীয় জনসাধারন উদ্যেক্তা ও ছাত্রী অভিভাবকের সমন্বিত প্রয়াসে ২০০৯ ইং সালের প্রথম থেকেই নিয়মতান্ত্রিক ভাবে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। গত ০৫-০৯-২০১০ ইং গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রনালয় কর্তৃক পাঠদানের অনুমতিপত্র লাভ করেছে আপনাদের প্রিয় এ প্রতিষ্ঠানটি। দিন দিন প্রতিষ্ঠানটি এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বাড়ছে ছাত্রী বাড়ছে ভবন, বাড়ছে শিক্ষক তারই সাথে বাড়ছে খরচ।
তাই আমরা সুধী মহলের কাছে অত্র প্রতিষ্ঠানটির যাবতীয় তথ্যচিত্র ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
পরিশেষে অত্র বিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর সুনাম ও গৌরবের পিছনে আবদান রেখেছেন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি বর্গ, আভিভাবক, শিক্ষা পেশায় নিবেদিত শিক্ষক মন্ডলী ও প্রানপ্রিয় প্রতিভাধর ছাত্রীরা। কাজেই দেশের নারী শিক্ষার উন্নয়নে তথা ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে এই বিদ্যালয়টি ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। তাই এ বিদ্যালয়টি সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের সকলকে অংশগ্রহন করতে হবে। তবেই আমরা গড়তে পারব- নতুন এক ইতিহাস; নতুন এক ডিজিটাল বাংলাদেশ।